বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত

পাটগ্রাম সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত পাঠাল বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক সবুজ মিয়ার (৩০) মরদেহ ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার নাজিরগুমানি সীমান্ত পিলারসংলগ্ন এলাকায় এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি ফেরত দেয় বিএসএফ।

সবুজ মিয়া পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের পচা ভান্ডার গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত বুধবার রাত তিনটার দিকে পচা ভান্ডার (পচাকাটা) সীমান্ত এলাকায় ৮৬৪ ও ৮৬৫ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝামাঝি ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন সবুজ।

বিজিবি, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক গরু আনার জন্য গত বুধবার শূন্যরেখার কাছাকাছি যান। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ভারতের ১৫৬ চেনাকাটা ক্যাম্পের বিএসএফ টহল দলের সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই সবুজ নিহত হন। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে এলে সবুজের মরদেহটি তুলে নেয় বিএসএফ।

বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের ৬১ বিজিবি ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেনাকাটা বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতেই সবুজের মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর স্বজনেরাও উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাট ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুজাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সবুজের মরদেহ ফেরত দেওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের মাথাভাঙা থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের জন্য সেখানকার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর মরদেহটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।

প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সবুজের মরদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পাটগ্রাম থানার পুলিশ।