জব্দ করা ঘনচিনি
জব্দ করা ঘনচিনি

‘সোডা অ্যাশ’ নামে আনা ৬০ হাজার কেজি ‘ঘনচিনি’ জব্দ

চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ডিপোতে তিন কনটেইনার খুলে ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি ঘনচিনি জব্দ করেছেন কাস্টমস ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। চীন থেকে ‘সোডা অ্যাশ’ নামের রাসায়নিক পদার্থের নাম দিয়ে এই ঘনচিনি এনেছেন ঢাকার এক আমদানিকারক। আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনি চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। সাধারণত মিষ্টান্ন, বেভারেজ আইটেম, জুস, চকলেট, কনফেকশনারি এবং অন্যান্য খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম মিষ্টিকারক হিসেবে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে ব্যাপক ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে আমদানি নীতি আদেশে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার মতিঝিলের এইচপি ইন্টারন্যাশনাল সোডা অ্যাশ নামে গত আগস্টে এই পণ্য চীন থেকে আমদানি করে। পণ্যটি খালাস নেওয়ার জন্য উত্তর কাট্টলী এলাকায় বেসরকারি কনটেইনার ডিপো ‘গোল্ডেন কনটেইনার ডিপোতে’ নেওয়া হয়। তবে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট সেল এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহায়তায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানটি জব্দ করেন।

কর্মকর্তারা জানান, জব্দ করার আগে ১৬ অক্টোবর তিন কনটেইনার থেকে নমুনা তুলে তিনটি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। তিনটি পরীক্ষাগার থেকে পণ্যচালানটি ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবির প্রথম আলোকে বলেন, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ। ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর এখন চালানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।