
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উচ্চ স্বরে কথা বলা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও পরে ক্যাম্পাসে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা চলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম আনসারুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। আহতদের একজন ২২ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল ইংরেজি বিভাগের ২২ ব্যাচের ফলাফল প্রকাশিত হয়। কয়েকজন বন্ধু রাতে শহরে খাবার খেতে যান। রাত নয়টার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ফিরছিলেন। পথে তাঁরা উচ্চ স্বরে কথা বলছিলেন। এ সময় ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনসারুল ইসলাম ধমকের সুরে তাঁদের চুপ করতে বলেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক হয় এবং ক্যাম্পাসে এসে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেওয়া হয়। তর্কের একপর্যায়ে উভয় পক্ষই ফোন করে অন্য সহপাঠীদের ক্যাম্পাসের বাসস্ট্যান্ডে ডেকে আনেন। বাস পৌঁছানোর পর তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে সাব্বির আহমেদসহ অন্তত চারজন আহত হন। সাব্বিরের ডান হাতের কবজির সামান্য ওপরে ধারালো কিছুর আঁচড় লেগেছে।
আহত সাব্বির আহমেদ তানভীর বলেন, ‘বাসে অনর্থক আমাকে হুমকি-ধমকি দেয় ওই বড় ভাই। ক্যাম্পাসে বাস থেকে নেমে চাকুর মতো ধারালো কিছু দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে আমিসহ আরও কয়েকজন আহত হই।’
এ ঘটনায় রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শামসুজ্জোহা বলেন, ‘বাসে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে ক্যাম্পাসে এসে উভয় পক্ষ বন্ধুবান্ধবদের জড়ো করে। তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। কোনো চাকু বা ছুরি দিয়ে আঘাত করার ঘটনা নয়। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। সাময়িকভাবে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’