Thank you for trying Sticky AMP!!

নিখোঁজের আট দিন পর তরুণের বিচ্ছিন্ন মাথা ও পা উদ্ধার

হত্যা

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সাগর মিয়া (১৮) নামের এক তরুণের বিচ্ছিন্ন মাথা ও পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে একটি নির্জন স্থান থেকে ওই তরুণের বিচ্ছিন্ন মাথা ও পা উদ্ধার করে দাউদকান্দি মডেল থানা-পুলিশ। তবে দেহের অংশ এখনো উদ্ধার হয়নি।

নিহত সাগর মিয়া ওই গ্রামের আবদুর রহমান ও হাসনা বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁর বাবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান।

সাগর মিয়ার খালাতো ভাই সোহেল মিয়া বলেন, ২৩ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে সাগর তাঁর মায়ের কাছ থেকে মুঠোফোন কেনার জন্য পাঁচ হাজার টাকা নেন। এ সময় একই গ্রামের বাসিন্দা তিন মাদকাসক্ত যুবক মাসুম মিয়া, জমির হোসেন ও ছবির হোসেন সাগরকে দামি মুঠোফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যান। এর পর থেকে সাগর আর বাড়ি ফেরেননি।

লিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত সাগর মিয়ার মাথা ও পা উদ্ধার করে। তবে দেহের অংশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।

পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে মাসুম, জমির ও ছবিরের অভিভাবক, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। প্রতিকার না পেয়ে ২৩ আগস্ট সাগর মিয়ার বাবা আবদুর রহমান বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। মডেল থানা-পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিখোঁজ সাগর মিয়াকে খুঁজতে থাকে।

আজ সকালে লক্ষ্মীপুর গ্রামের সাহেববাড়ির মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে গ্রামের এক নারী সাগর মিয়ার মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তাঁরা থানা-পুলিশকে ডাকেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত সাগর মিয়ার মাথা ও পা উদ্ধার করে। তবে দেহের অংশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।

দাউদকান্দি মডেল থানার গৌরীপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, কিশোরের বিচ্ছিন্ন মাথা ও পা সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।