Thank you for trying Sticky AMP!!

নাটোরে আদালত চত্বরে হামলার ঘটনায় পাঁচ যুবলীগ কর্মী রিমান্ডে

নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোর আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীর ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় যুবলীগের  পাঁচ কর্মীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলম এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে এক বিচারপ্রার্থীর ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগের পাঁচ কর্মীর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি আদালতকে জানান, আসামিরা পবিত্র আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীর ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছেন। তাঁরা অস্ত্র নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাঁদের হেফাজত থেকে পিস্তলের গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পিস্তলের গুলি তাঁদের কাছে কীভাবে এল? গুলি ব্যবহারের পিস্তলটি তাঁরা কোথায় রেখেছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

এ সময় আদালতের পুলিশ পরিদর্শক নাজনীন আরা আদালতকে বলেন, আসামিরা কোন সাহসে আদালত চত্বরে অস্ত্রের মহড়া দেন, তা রিমান্ডে নিয়ে জানা দরকার।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান সরকার রিমান্ড আবেদনের সরাসরি বিরোধিতা না করে আদালতকে বলেন, আসামিদের রিমান্ড দেওয়া হলে পুলিশ যেন হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলেন। এ সময় আদালত আসামিদের কাছে তাঁদের কিছু বলার আছে কি না জানতে চান। তখন আসামিদের একজন জানান, তাঁদের বেদম মারা হয়েছে। তাঁরা অসুস্থ।

শুনানি শেষে আদালত আসামিদের তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার আগে ও পরে চিকিৎসকের কাছ থেকে আসামিদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রিমান্ড সম্পর্কে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা মেনেই আমরা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’