
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারিক রিফাত (৫৫) নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। রোববার বিকেল চারটার দিকে তাঁকে জেলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই রিফাত অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারিক রিফাতের বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরামপুর গ্রামে। তিনি উপজেলার রাজাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বেও ছিলেন।
তারিক রিফাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রোববার বিকেল চারটার দিকে পুলিশ তারিক রিফাত নামের ওই আসামিকে জেলা কারাগারে আনে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে কারাগারের ভেতরে ঢোকানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তারিক রিফাতের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন। হৃদ্যন্ত্রে কয়েকটি রিং পরানো ছিল।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, তারিক রিফাতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি আরও জানান, তারিক রিফাতের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্টের আগে উপজেলার ফুলপুকুরিয়া এলাকায় হামলা, বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, জামায়াত নেতাকে হত্যার চেষ্টা এবং বিস্ফোরক আইনের একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। ১৭ নভেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির পর সেদিন রাতেই তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অসুস্থতার কারণে তারিক রিফাতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে গত শনিবার বিকেলে তাঁকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আনা হয়। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।