
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে মহাসড়কের রঙ্গিলাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শহিদুল্লাহ (৪৬) শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী তাহেরা খাতুন (৪০)। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় বাস চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাহেরা খাতুনের শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
নিহত ব্যক্তির স্বজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর স্ত্রী তাহেরা খাতুনসহ রঙ্গিলাবাজার এলাকায় সড়ক পার হচ্ছিলেন শহিদুল্লাহ। এ সময় ময়মনসিংহগামী তাজ পরিবহনের একটি মিনিবাস তাঁর স্ত্রীকে চাপা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে শহিদুল্লাহ দৌড়ে ওই বাসের হাতল ধরে ঝুলে পড়েন। কিছু দূর যাওয়ার পর ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তিনি সড়কে পড়ে যান। এতে তিনি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদিকে বাসচাপায় গুরুতর আহত তাহেরা খাতুনকে প্রথমে মাওনা আল হেরা, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত মো. শহিদুল্লাহর স্বজন মো. আতিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বাসের হাতল ধরে ঝুলে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চালকের সহকারী মো. হৃদয় (২০) শহিদুল্লাহকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এতে সড়কে পড়ে চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে শহিদুল্লাহ মারা যান।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর চালক বাস ফেলে পালিয়ে যান। চালকের সহকারী মো. হৃদয়কে (২০) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাথি দিয়ে ফেলা হয়েছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।