রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সাবেক তিন সমন্বয়কের উদ্যোগে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্যানেলে ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীব। নির্বাচন ও প্যানেল নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শফিকুল ইসলাম ও সাজিদ হোসেন।
প্যানেল দিলেন, কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে। প্রস্তুতিতে কি ঘাটতি ছিল?
মেহেদী সজীব: আমরা যাঁরা ক্যাম্পাসে সক্রিয় আন্দোলন করেছি, এখনো করছি, তাঁরা নিজেদের আগ্রহ ও রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে ভাগ হয়ে গেছি। কেউ কেউ তাঁদের রাজনৈতিক সংগঠনে ফিরে গেছেন। তবু শেষ পর্যন্ত আমরা তিনজন এক জায়গায় আসতে পেরেছি।
আপনাদের প্যানেলে বিশেষত্ব কী? কেন শিক্ষার্থীরা আপনাদের ভোট দেবেন?
মেহেদী সজীব: আমরা জুলাইয়ের আগেও ক্যাম্পাসে নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি, তাঁদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই মনে করি, শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত করলে আমরা আরও দুর্বার গতিতে কাজ করে যাব।
কেউ বলছে, এনসিপি–বাগছাস আপনাদের সমর্থন দিচ্ছে। আবার কেউ বলছে, শিবিরের ‘ছায়া টিম’। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?
মেহেদী সজীব: যদি এমন হয় যে আমরা ‘বি টিম’ হয়ে আছি, তাহলে তো আমরা যে ভোটটা পাব, এটা তো নিঃসন্দেহে অন্য একটা প্যানেলের ভোট কেটেই পাব। এটা তো কেউ চাইবে না। এই জায়গা থেকে আলাপটা সেভাবে টেকে না।
আপনাদের প্যানেলে মাত্র চারজন নারী। এই সংখ্যা কি সব নারীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে?
মেহেদী সজীব: সব প্যানেলেই নারী অনেক কম। সাইবার বুলিং, হেনস্তা, পরিবার থেকে বাধা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ—এগুলো বাধা হয় নারীদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না এই চার নারী ৩৮ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করেন।
’৭১ ও ’২৪ নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী?
মেহেদী সজীব: দেখেন ’৭১ ও ’২৪ হচ্ছে প্যারালাল (সমান্তরাল) একটা বিষয়। ’৭১-এ আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, ’২৪-এ পুনরুদ্ধার করলাম। বাংলাদেশ–পরবর্তী সময়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, ’২৪-এ এসে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
ডাকসুতে ছাত্রশিবির বড় জয় পেল। জাকসুতে আবার একজন সাবেক সমন্বয়ক ভিপি হলেন। আপনি সমন্বয়ক হিসেবে আপনার প্যানেলকে কোথায় দেখতে চান?
মেহেদী সজীব: ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন অ্যাকটিভিজম করেছি। সবকিছু মিলিয়ে জুলাই তো একটা শক্তি দেবেই। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যে ম্যান্ডেট, এটাও আমাদের বড় শক্তি। দুইয়ের সমন্বয়ে যদি কাজ করতে পারি, আমি বিশ্বাস করি, আমি প্যানেল ও নিজেকে নিয়ে শতভাগ আশাবাদী।