Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটে অবরোধ চলাকালে ‘যুবদল নেতার’ মৃত্যু, পুলিশের দাবি দুর্ঘটনা

দিলু আহমদ

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সিলেটে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির দাবি, দিলু আহমদ ওরফে জিলু (৪০) নামের ওই যুবক গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় গাছে ধাক্কা লেগে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে নির্যাতন করে পুলিশ। বিকেলে ওই যুবক মারা যান।

তবে বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা প্রথম আলোকে বলেন, ওই যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বিএনপির দাবি সঠিক নয়।

Also Read: সিলেটে যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার চেষ্টা, বিভিন্নস্থানে পিকেটিং

বিএনপির নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যুবদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধের সমর্থনে অবস্থান নেন। তখন পুলিশ মারমুখী হয়ে তাঁদের ধাওয়া করে। এ অবস্থায় সবাই দৌড়ে পালাতে থাকেন। দিলু আহমদও সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করতে রওনা হন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ওই মোটরসাইকেলকে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গাছে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে পুলিশ তাঁদের গাড়িতে করে দিলুকে নিয়ে যায়। পুলিশের হেফাজতে থাকার সময়ও তাঁকে নির্যাতন করা হয়। বিকেলের দিকে দিলুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

এদিকে দিলুর ভাই মো. বুলু মিয়া (৪৫) দাবি করেছেন, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দিলু সবার ছোট। তাঁর ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তিনি সাধারণ একজন মানুষ। জরুরি প্রয়োজনে সকালে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় নয়, দিলু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিলু যুবদলের কর্মী। পরিবার কেন বিষয়টি অস্বীকার করছে, তা বুঝতে পারছি না। অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতেই দিলু লালাবাজার এলাকায় যান। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে হেফাজতে নিয়েও তাঁকে নির্যাতন করা হয়। এখন বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।’

জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী থেকে শুরু করে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এটা দুর্ঘটনা। দিলুকে পুলিশের হেফাজতে আনার বিষয়টি সঠিক নয়।

Also Read: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচ মামলা

এদিকে দিলু আহমদকে হত্যার অভিযোগ তুলে বেলা তিনটার দিকে নগরের সোবাহানীঘাট এলাকা থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল একটা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শাহজালাল সেতু পর্যন্ত যায়। এতে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।