
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘মসনদটা মনে হয় এখন কেউ কেউ আর ছাড়তে চায় না। নয় মাস অতিবাহিত হলো এখনো কেন নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ দেওয়া হচ্ছে না।’
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘তিন মাসে যদি শাহাবুদ্দীন নির্বাচন করতে পারে, আপনি কেন সাড়ে নয় মাসে নির্বাচন দিতে পারছেন না। মানুষ সন্দেহ করছে এবং বলা শুরু করেছে, কী যেন একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, দেশে আরেকটি দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা হীন ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের বারবার ডেকে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার আর কোনো সুযোগ নেই। আপনাকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে জনপ্রতিনিধির হাতে সংসদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
বাংলাদেশে আরেকটি ষড়যন্ত্রের জাল দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শেখ মুজিবের মতো গলা টিপে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা। ছাত্র–জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হলো। ঠিক এই মুহূর্তে আবার বাংলাদেশে আরেকটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা যেন এই বিএনপির পরিবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুস্থ সংগঠন তৈরি করতে পারি। তাই আমি বলতে চাই যে ষড়যন্ত্র চলছে বিএনপিকে মাইনাস করার...এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে, কে বড় নেতা, কে উঁচু দেয়ালে থাকে, সেগুলো চিন্তা করলে চলবে না, একটাই চলবে যে আমি বিএনপি করি।’
দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরে জয়নুল আবদিন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর অত্যাচার–নির্যাতন করা হয়েছে। নেতা–কর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারে নাই। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির নেতা–কর্মীরা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা–কর্মীর গায়ে হাত তোলেননি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমির হোসেন।