
রংপুরের তারাগঞ্জে এক বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমপুর ইউনিয়নের খোদ্দ বিলাইচণ্ডী এলাকা থেকে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম জাবেদ আলী (৬০)। তিনি মাছ ও পাখি শিকার করতেন। তাঁর বাড়ি পার্শ্ববর্তী নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পীরপাড়া গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাবেদ আলী দীর্ঘদিন ধরে মাছ ও পাখি শিকার করে সংসার চালাতেন। গতকাল রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একটি কল আসে। এর ঠিক পর পরই তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন, জাবেদ হয়তো পাখি শিকারে গেছেন। কিন্তু আজ সকালে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার মাধ্যমে খবর আসে, খোদ্দ বিলাইচণ্ডী এলাকার ডালিয়া সেচ ক্যানেলের পাশে একটি লাশ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে পরিবারের লোকজন জাবেদ আলীর গলাকাটা মরদেহ শনাক্ত করেন।
খবর পেয়ে প্রথমে সৈয়দপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারাগঞ্জ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
জাবেদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিলাপ করে কাঁদছেন উম্মে কুলসুম। কয়েকবার তিনি সংজ্ঞাও হারান। জ্ঞান ফিরতেই আবার বিলাপ করে বলেন, ‘মোর স্বামীক কে মারল? ওর তো কোনো শত্রু নাই। এখন হামার কি হবে।’
প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, মরদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রহস্যজনক ফোন কলসহ সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত চলছে।