Thank you for trying Sticky AMP!!

সিন্ডিকেট করে হিমাগারগুলো মানুষের টাকা শুষে নিয়েছে, কিচ্ছু করতে পারিনি: কৃষিমন্ত্রী

ফরিদপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার সদর উপজলা মিলনায়তনে

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট করে আলুর কোল্ড স্টোরেজগুলো (হিমাগার) সাধারণ মানুষের টাকা শুষে নিয়েছে। আমরা অসহায় হয়ে দেখেছি, কিচ্ছু করতে পারিনি। আমরা বেশি চাপ দিলে বাজার থেকে সব আলু তুলে নিয়ে যায়।’

আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও জনপ্রিয় জাত সম্প্রসারণ এবং শস্য বিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

Also Read: সিন্ডিকেট ভাঙার দায়িত্ব কার

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আলুতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আলুতে আমাদের ঘাটতি নেই। তারপরও সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের মাঝেমধ্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।’ তিনি বলেন, ‘কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পান না। আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। ফরিদপুরে ৫০-৬০টির মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা খুব কার্যকরী। ভবিষ্যতে আমরা এ প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাই। সঠিকভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে ভবিষ্যতে আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।’

নির্বাচন সামনে রেখে দেশ অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নানা চক্র এর পেছনে কাজ করছে। তারা (বিএনপি) ১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অচল করতে চেয়েছিল। ১৫০ জন নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। গণতন্ত্রের নামে চরম বর্বরতা দেখিয়েছিল। গাড়ির দরজায় তালা দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মেরেছিল। এর থেকে বীভৎস আর কী হতে পারে।’

Also Read: আলুর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী

তিনি বলেন, তারা আবার হুমকি দিচ্ছে, বাংলাদেশকে অচল করে দেবে। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় ব্যস্ত। এটা দেশের জন্য, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সচেতনতার সঙ্গে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ খাদ্যঘাটতির দেশ ছিল। ১৯৭২-৭৩ সালে অনেক দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করেছি। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ও কৃষকের ঘামের অবদান এটি। বর্তমানে চালের দাম নিম্নমুখী।’

Also Read: সিন্ডিকেট ভিমরুলের চাক, কেউ খোঁচা দিতে চায় না

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপসচিব মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দিকী, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস প্রমুখ বক্তব্য দেন।