চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপি থেকে আরও এক নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারকে আজ রোববার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা চিঠি দেওয়া হয়। একই আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় ৪ ডিসেম্বর।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, রাউজান আসনে গোলাম আকবর খন্দকারকেও দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গিয়াস কাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। দুজনই দলের প্রার্থী। এখনো সময় আছে। দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে একজনকে প্রার্থী রাখবেন।
দল থেকে আগে মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন আমাকে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে গোলাম আকবরকে দেওয়া হয়েছে।’
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে গোলাম আকবর খন্দকারের মুঠোফোনে কল হলে তিনি ধরেননি। তবে তাঁর ছেলে তারেক খন্দকার ফেসবুকে গোলাম আকবরকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে পোস্ট দিয়েছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উওর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দুই নেতার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজানে ১৪টি খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে ছয়টি।
চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও ৩৪টি থানা এলাকা নিয়ে ১৬টি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে নগরের ১৬টি থানা এলাকায় আসন রয়েছে ৪টি। অন্য ১২টি আসনের মধ্যে ৭টি উত্তর চট্টগ্রামে ও ৫টি দক্ষিণ চট্টগ্রামে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি বিএনপি। যদিও গত শনিবারও চট্টগ্রামের দুটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। সীতাকুণ্ড আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ডবলমুরিং আসন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সরিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ডবলমুরিং আসনে দেওয়া হয় বিএনপির প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে।