
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক মহাসড়কের পাশে বসতঘরে ঢোকায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ওই নারীর তিন বছর বয়সী নাতি। আজ সোমবার ভোরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়ার বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম নুরি বেগম (৪০)। দুর্ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ট্রাকের নিচ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আর তাঁর নাতি আবদুল্লাহকে (৩) দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যুর খবরের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের বটতলা মহাসড়কের পাশে সাগর হোসেনের বাড়ি। কাজের সুবাদে সাগর হোসেন তাঁর স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন। মহাসড়কের পাশে একটি টিনের চালার ঘরে সাগরের ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে বসবাস করেন তাঁর মা নুরি বেগম। আজ সকাল ছয়টার দিকে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগর হোসেনের ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ঘরে ঘুমে থাকা নুরি বেগম ও শিশু আবদুল্লাহ ওই ট্রাকের নিচে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় প্রথমে শিশু আবদুল্লাহকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে নুরি বেগমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ইমরান হোসেন বলেন, লালমনিরহাট মহাসড়কের পাশেই একটি বাড়িতে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক ঢুকে পড়ে। এতে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক শিশুকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, শিশু আবদুল্লাহকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নুরি বেগমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি পুলিশের জিম্মায় আছে।