
গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে মসজিদের ইমামের মৃত্যুর ছয়দিন পর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। এদিকে ইমামের হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
নিহত রহিজ উদ্দিনের (৩৫) বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলায়। তিনি গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার হায়দরাবাদ এলাকার একটি মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ থাকতেন।
ইমামের মৃত্যুর ঘটনার পরদিন গত ২৮ এপ্রিল তাঁর স্ত্রী সাজেদা আক্তার পুবাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৩০ জনকে। গতকাল শনিবার অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, রহিজ উদ্দিন চার মাস ধরে ওই মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম দুই মাস বাড়িতে থেকে মসজিদে যাতায়াত করতেন। পরে কমিটির লোকজন তাঁকে মসজিদের তৃতীয় তলায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। জুমার বয়ান নিয়ে এলাকার দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। এক পক্ষ ইমামকে মসজিদ থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করে। বিবাদীদের মধ্যে একজনের সন্তানকে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা মামলা গ্রহণ করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
এদিকে ইমাম হত্যার বিচারের দাবিতে আজ দুপুরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের উদ্যোগে শহরের রাজবাড়ি রোডে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হয়। এতে বক্তব্য দেন আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আ ন ম মাসুদ হোসেন আল কাদেরী, জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়াল কাদেরী।
বক্তারা বলেন, অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে রইজ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।