
জামালপুর-৫ (সদর) আসন এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলীকে (মামুন) কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির পক্ষে জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (অর্থঋণ) আদালতের বিচারক মো. ইকবাল মাহমুদ এই নোটিশ দেন।
আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীর উপস্থিত হয়ে ওয়ারেছ আলীসহ তিনজনকে নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওয়ারেছ আলীর পাশাপাশি আরও যাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান (রুমেল) এবং জামালপুর শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় জামালপুর দিনকাল পত্রিকার প্রকাশক মো. আরজু আকন্দ।
কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকায় শাহ মো. ওয়ারেছ আলীর পক্ষে খন্দকার আহসানুজ্জামান ও মো. আরজু আকন্দ আঞ্চলিক জামালপুর দিনকাল পত্রিকায় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এ কর্মকাণ্ড সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ এর বিধি-৩ ও বিধি-১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অভিযোগের বিষয়ে কেন জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (অর্থঋণ) আদালতের বিচারক মো. ইকবাল মাহমুদের কার্যালয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপানোর বিষয়টি আমি জানিই না। আমার দলের কোনো নেতাও বিষয়টি জানেন না। কীভাবে বিজ্ঞাপনটি ছাপা হয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। সেটার দায়তো আমার না। তারপরও যেহেতু ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, আমি সেটি দেব।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুপ আলী বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’