কক্সবাজারের টেকনাফ/ প্রশিক্ষিত কুকুর ধরিয়ে দিল ইয়াবা চালান। আজ শুক্রবার সকালে
কক্সবাজারের টেকনাফ/ প্রশিক্ষিত কুকুর ধরিয়ে দিল ইয়াবা চালান। আজ শুক্রবার সকালে

কক্সবাজারের টেকনাফ

কুকুরের দেখানো পথে আটার প্যাকেটে মিলল ৬০ হাজার ইয়াবা

আটার প্যাকেটে লুকিয়ে যাত্রীবাহী বাসে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে পাচার হচ্ছিল ইয়াবার একটি চালান। আজ শুক্রবার সকালে উখিয়ার ৬৪ বিজিবির হোয়াইক্যং চেকপোস্টে বাসটি তল্লাশির সময় প্রশিক্ষিত কুকুরের দেখানো পথে আটার প্যাকেট থেকে বিজিবি সদস্যরা কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেন।

এ সময় ইয়াবা পাচারকারী মাহমুদুল আমিন (২৭) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়। তাঁর বাড়ি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গোলাম মোস্তফা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা স্টেশন থেকে কক্সবাজারগামী পূরবী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল আমিন। সকাল ১০টার দিকে বাসটি হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে পৌঁছালে বিজিবির সদস্যরা তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় বিজিবির প্রশিক্ষিত কুকুর বারবার মাহমুদুল আমিনের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তখন বিজিবির সদস্যরা বাসের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাচ্ছিলেন না। কুকুরটিও স্থান থেকে সরে যাচ্ছিল না। অবশেষে বিজিবির সদস্যরা বাসের সাইড বক্সে থাকা আটার প্যাকেটের মধ্যে স্কচটেপ মোড়ানো ছয়টি প্যাকেট উদ্ধার করেন; যার ভেতরে পাওয়া গেছে ৬০ হাজার ইয়াবা। ইয়াবা উদ্ধারের পর কুকুর স্থান ত্যাগ করে।

বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মাহমুদুল আমিন জানান, হ্নীলা এলাকার মকবুল নামের এক রোহিঙ্গা নাগরিকের কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির জন্য তিনি কক্সবাজার শহরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের কারণে ইয়াবার চালানটি ধরা খেল।

বিজিবির অধিনায়ক বলেন, নানা কৌশলে টেকনাফ থেকে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। বাস কিংবা শরীরের কোথাও ইয়াবা লুকানো থাকলে প্রশিক্ষিত কুকুর তা শনাক্ত করতে পারে। ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।