
কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৯ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার টাউনহল মাঠে বেলুন উড়িয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। পাঠকদের আগমনে দ্রুতই বইমেলায় বেচাকেনা জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন আয়োজকেরা।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকেল ৪টার দিকে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এবারের মেলায় রাজধানীর ৭৪টি খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কুমিল্লার ১০টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯৪টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই বইমেলা চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কুমিল্লার বইমেলায় রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথমা প্রকাশন ও প্রথম আলো বন্ধুসভাও অংশগ্রহণ করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্তানকে একটি ভালো বই কিনে দেওয়া মানে একটি ভালো বন্ধু দেওয়া। মনে রাখতে হবে, একটি ভালো বই আমাদের সন্তানদের জন্য একটা ভালো সঙ্গ হতে পারে। ভালো বই থেকে আমাদের সন্তানেরা ভালো গাইডলাইন পেতে পারে, তাদের আদর্শ মানুষ হওয়ার পথ দেখাবে ভালো বই।’
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. খালিদ সরকার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম। স্বাগত বক্তব্য দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক আনোয়ারুল হক ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। তাঁরা প্রতিটি স্টলে বইয়ের সমাহার দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনের দিনে বইমেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। বেশির ভাগ দর্শনার্থী স্টলগুলো ঘুরে দেখেছেন। অনেকে পছন্দের বইও কিনেছেন। অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মেলায় আসতে দেখা গেছে। মেলায় তরুণদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আয়োজকেরা জানান, প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এ ছাড়া বইমেলা উপলক্ষে কুইজ, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।