
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ–নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া ভোগাই ও শেরপুরে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদ ও সোমেশ্বরী নদীর পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায়ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে মেঘালয় থেকে নেমে আসা জেলার চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি একটু থেমেই আবার বাড়তে শুরু করেছে।
চেল্লাখালী নদীর পাড়ের কচুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আজম আলী (৫৫) বলেন, ‘সকালবেলায় প্রচণ্ড বৃষ্টি অইছে। মেঘালয়ে বৃষ্টি অইলে আমগর নদীতে ঢল নামে। সকাল থাইকা নদী দিয়া ঢলের পানি বাড়তাছে। এইভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা আছে।’
নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম বলেন, একটু থেমেই গতকাল রোববার রাত থেকে আবার চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানি আর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কিছুটা বিপত্তিই হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এলাকায় বৃষ্টি না হলে নদীর পানি দ্রুত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাউবোর শেরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ ও আগামীকাল বৃষ্টিপাত না হলে নদীর পানি কমে যাবে।