
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন মহাসড়কের এক পাশে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
জাতীয় ছাত্রশক্তির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওসমান হাদিসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদের এই সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অথর্ব সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। অবিলম্বে ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রশক্তির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিল, দেড় বছরে উপদেষ্টারা নিজ নিজ সেক্টরে ব্যর্থ হয়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন জায়গায় যেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও কালচারাল ফ্যাসিজমের কাঠামোগুলো ভেঙে দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু দেড় বছর পর নির্বাচনের দুই মাস আগে পর্যন্ত এখনো সেই কাঠামো বিরাজ করছে। এর জেরে শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা করেছে সন্ত্রাসী লীগ এবং তাদের মদদদাতা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে ছাত্রশক্তির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে আমরা শত শত মিছিল করেছি বিচারের দাবিতে। রাজপথে আন্দোলন করেছি। কিন্তু এই অথর্ব উপদেষ্টা, অথর্ব ইন্টেরিম সরকার এখন পর্যন্ত কোনো বিচার কার্যকর করতে পারেনি। আমরা দেখেছি, জুলাই সন্ত্রাসীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের জুলাইয়ের সন্ত্রাসের কায়েম করা মদদদাতা খুনি হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের ওপর যারা হামলা চালাচ্ছে, তারা এখনো বাংলাদেশের মাটিতে আত্মগোপনে রয়েছে। কিন্তু তাদের এখন পর্যন্ত অথর্ব ইন্টেরিম সরকার গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি।’
জিয়াউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা দেখি আজও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে এখনো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আছে। তারা এখনো বিভিন্ন জায়গায় আনাচকানাচ থেকে আমাদের ওপর হামলা চালানোর নানা অপচেষ্টার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কিন্তু অথর্ব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথর্ব শিক্ষকদের বিচার করতে পারেনি। যার কারণে জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষকেরা অরুণা পল্লীতে (শিক্ষকদের বসবাসের সোসাইটি) বসে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জায়গায় বসে আমাদের ওপর হামলা করার নানা ছক কষছে।’