Thank you for trying Sticky AMP!!

আগামীকাল হাসপাতাল ছাড়বেন রাসেল ভাইপারের ছোবল খাওয়া সেই কৃষক

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন কৃষক জাহিদ প্রামাণিক। পাশে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে

কেমন আছেন, জিজ্ঞাসা করতেই কৃষক জাহিদ প্রামাণিক বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। সকালে ডাক্তার আইছিল। বইল্লো কাল (বৃহস্পতিবার) বাড়িত যাতি পারব।’ পাশে বসে থাকা জাহিদের মা সামেলা খাতুন ও স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের চোখেমুখে আনন্দ। রাবেয়া বললেন, ‘আমি আর আমার শাশুড়ি আছি। ও (জাহিদ) বেশ ভালো অনুভব করছে। আশা করছি, কাল বাড়ি চলে যেতে পারব।’

পাটখেতে নিড়ানি দেওয়ার সময় জাহিদ প্রামাণিককে গত মঙ্গলবার সকালে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ছোবল দেয় বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। সাপটিকে মেরে ফেলেন তিনি। এরপর চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেলস ভাইপার বলে শনাক্ত করেন। সেখান থেকে জাহিদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

Also Read: কেমন আছেন রাসেল ভাইপারের ছোবলের পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সেই কৃষক

জাহিদের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামে। তিন দিন ধরে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন (পুরুষ) ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বিছানায় আছেন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

কথা হলে জাহিদের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন, তিনবেলা চিকিৎসক ও নার্সেরা আসছেন। খোঁজ নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ দিচ্ছেন। চিকিৎসার কোনো কমতি হচ্ছে না। খাওয়াদাওয়াও ঠিকমতো করতে পারছেন।

জাহিদ প্রামাণিক বলেন, শরীরে কোনো সমস্যাবোধ করছেন না। হাতের আঙুলের ফোলাও অনেক কমেছে। ঝিনঝিন ভাব আর নেই।

Also Read: পাটখেতে রাসেল ভাইপারের ছোবল, সাপ মেরে হাসপাতালে কৃষক

হাসপাতালের মেডিসিন চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাহিদকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। তিন দিনে তিনি অনেকটা সুস্থবোধ করছেন। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল জাহিদকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। তবে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

Also Read: নড়িয়ার ড্রেজারে ‘রাসেলস ভাইপার’ এল কী করে