Thank you for trying Sticky AMP!!

বর্তমান সংবিধান আ.লীগকে ক্ষমতায় বসানোর সংবিধান: গয়েশ্বর

১০ দফা দাবি ও ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস উপলক্ষে বরিশালে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বুধবার নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে

বর্তমান সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করতে করতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর সংবিধানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ বুধবার ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস ও বিএনপির ১০ দফা দাবিতে বরিশালে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ প্রমুখ।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল গঠনের দিনকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উল্লেখ করে সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৯৭২ সালে আপনারা সংবিধান করেছেন। ৭৪ সালে সেটাকে আবার অপারেশন করেছেন। আপনারা নিজেরাই তো ’৭২-এর সংবিধানে থাকেননি। এখন সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে জোড়াতালি দিতে দিতে সেটা আর বাংলাদেশের সংবিধান নেই, এটা আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বসানোর সংবিধানে পরিণত হয়েছে।’

Also Read: সরকারও একদিন ধপাস করে পড়ে যাবে: গয়েশ্বর

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচির পর কর্মসূচি আসবে বিএনপির। সেই কর্মসূচি হবে এক দফা। নির্বাচনের পূর্বশর্ত শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কখনো নির্বাচন হবে না। এখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। আদালত চলে ওপরের নির্দেশে। আর ওপরতলায় বসে আছেন শেখ হাসিনা। সুতরাং তাঁকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন শব্দটা মুখে আনবেন না। শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর নির্বাচনের কথা আসবে, তার আগে না।’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণসংযোগ করেন, জনগণের কাছে যান, কথা বলেন, কীভাবে শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করবেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রস্তুতি বিএনপির প্রয়োজন নেই।’

Also Read: কে ক্ষমতায় এল এটা মুখ্য বিষয় না, বিষয় হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন: গয়েশ্বর রায়

পদ্মা সেতু বানানোর নামে বস্তাভর্তি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বলতে কোনো নীতি নেই, আছে শুধু দুর্নীতি। এখন ব্যাংকগুলোর কী অবস্থা, তা ব্যবসায়ীরা জানেন। ব্যাংকে টাকা নেই। সরকার হঠাৎ ধপাস করে পড়ে যাবে।’

১০ দফা দাবি আদায় ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সকাল থেকে মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ড, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল কালো পতাকা। বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে দলীয় কার্যালয় ও সদর রোডের বিভিন্ন মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।