
হাওর–অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘তাহিরপুর উপজেলাবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের অন্যান্য উপজেলার সঙ্গে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দুটি টিটিসি নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়। এখন তা হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। শান্তিগঞ্জের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও তাহিরপুরের কেন্দ্রটি জেলার জগন্নাথপুরে স্থানান্তরের চূড়ান্ত প্রস্তাব দিয়ে গণপূর্ত কর্তৃপক্ষকে ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প স্থানান্তরের খবর জানাজানি হওয়ার পর রোববার তাহিরপুর উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রকল্প পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
তাহিরপুরে টিটিসি বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব সুহেল আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর–জামালগঞ্জ–ধর্মপাশা–মধ্যনগর) আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা আনিসুল হক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা কামরুজ্জামান; তাহিরপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী, টিটিসি বাস্তবায়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফেরদৌস আলম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওর–অধ্যুষিত তাহিরপুর উপজেলা নানা কারণে পিছিয়ে আছে। এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র হলে হাওর এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। এই এলাকার তরুণেরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। তাঁরা দেশে-বিদেশে কাজের সুযোগ পাবেন। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্য উপজেলায় নয়, তাহিরপুরেই এটি স্থাপন করতে হবে।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তাহিরপুরে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে না। এটি হবে জগন্নাথপুরে হবে বলে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রটি নির্মাণের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই।