খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্চুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্চুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়

খুলনায় শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ও পাটের গুদামে ভাঙচুর

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জমায়েত হয়ে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় রেস্টহাউসটি ভাঙচুর শুরু করেন। ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘খুনি হাসিনার আস্তানা, গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রড, শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে রেস্টহাউসটি ভাঙা হয়। রেস্টহাউসের গ্রিল, লাইট, দরজা, কমোড খুলে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা। উত্তেজিত জনতা সেখানে থাকা পাটের গুদামেও ভাঙচুর চালান।

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্চুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়

স্থানীয় মানুষ ও আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, নগরঘাট এলাকায় পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সহধর্মিণী  ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দুটি পাটের গুদাম ও এক কক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা তাঁর ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির খোঁজ পান।

পরে পুরোনো সেই পাটগুদাম ভেঙে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়। নদীতীরবর্তী স্থানে বানানো হয় রেস্টহাউস। যা শেখ হাসিনার রেস্টহাউস হিসেবে পরিচিত। গুদামসংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয় শেখ রাসেলের নামে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ওই গুদাম দেখতে ব্যক্তিগত সফরে সড়কপথে খুলনায় এসেছিলেন শেখ হাসিনা।