সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারির সব ধরনের পাথর স্থানান্তর ও পরিবহন বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। এ নির্দেশনা–সংক্রান্ত বিএমডির একটি চিঠি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এসেছে।
গত সোমবার প্রথম আলোয় ‘কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর লুট’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ সংবাদটিকে সূত্র হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে পরদিন বিএমডি এ নির্দেশনা জারি করেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার প্রথম আলোকে জানান, গত মঙ্গলবার তিনি বিএমডির চিঠি পেয়েছেন। এখন সব ধরনের পাথর স্থানান্তর ও পরিবহন বন্ধ আছে। রাতেও যেন কেউ পাথর সরাতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি পাথরও এখন অপসারণ ও পরিবহন করতে দেওয়া হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিএমডির নির্দেশনায় লেখা আছে, লোভাছড়া পাথর কোয়ারি এলাকার লোভা নদীর দুই পাশে জব্দ করা পাথরের মধ্যে রিট মামলার আওতাবহির্ভূত মোট ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথর সরকারের অনুমোদনক্রমে উন্মুক্ত নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামের পাথর অপসারণের সময়সীমা গত ২৩ জুলাই শেষ হয়েছে। তবে নিলামক্রেতা ইতিমধ্যে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন করেছেন, যা আদালতে বিচারাধীন।
নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, পাথর অপসারণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে মেয়াদ না বাড়ানোয় কোয়ারি এলাকা থেকে আর কোনো পাথর অপসারণ ও পরিবহনের সুযোগ নেই। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনায় লোভাছড়া পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া আপাতত বন্ধ আছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে লোভাছড়া পাথর কোয়ারি হতে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে পাথর উত্তোলন, আহরণ, পরিবহন ও অপসারণ করা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ, অননুমোদিতভাবে পাথর উত্তোলন, আহরণ, পরিবহন ও অপসারণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা প্রয়োজন বলে বিএমডি নির্দেশনায় জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএমডির মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আনোয়ারুল হাবীব স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।