ময়মনসিংহে ‘ফাঁদে ফেলে’ প্রবাসীর কাছ থেকে ১৪ হাজার রিয়াল লুটে নেওয়ার মামলায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে পুলিশ নগরের মহারাজা রোডের একটি বাসা থেকে রুমা আক্তার (২৫) নামে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, আজ বেলা ৩টার দিকে পুলিশের একটি দল নগরের মহারাজা রোডের ওই বাসায় রুমা আক্তার ও তাঁর স্বামী রকি মিয়াকে আটক করতে যায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রকি মিয়া পালিয়ে গেলেও রুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে লুটে নেওয়া টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি।
এর আগে গত শনিবার ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় আটাআনী পুকুরপাড় এলাকায় একটি বাসায় প্রবাসফেরত শওকত হোসেনসহ দুজনকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ফুলবাড়িয়া উপজেলার জঙ্গলবাড়ি গ্রামের শওকত হোসেনের অভিযোগ, এক মাস আগে তিনি দেশে আসেন। সেই খবর সংগ্রহ করে রুমা আক্তার মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত শনিবার বিকেলে ওই বাসায় কৌশলে ডেকে নিয়ে ১৪ হাজার রিয়াল (বিদেশি মুদ্রা), ১১ হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা আদায় করে তাঁকে ছেড়ে দেয় চক্রটি। ইয়াবা ও নারীর সঙ্গে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও রাখা হয়। পরে শওকত হোসেন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। শনিবার রাতেই পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে খলিলুর রহমান ওরফে সজল মিয়াকে (২৪) আটক করে। এ ঘটনায় থানায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তারও এজাহারভুক্ত আসামি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, স্বামীর প্ররোচনায় রুমা আক্তার এ ধরনের অপরাধ করছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। প্রবাসীর কাছ থেকে নেওয়া বিদেশি মুদ্রাগুলো উদ্ধারে এবং রকিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং এ ধরনের ফাঁদ পেতে মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রকে ধরতে অভিযান চলছে।