
মাদারীপুরে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড়া বড়ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল হোসেন দরজির ছেলে আক্তার দরজি ও দুই ভাগনে চতুরপাড়া বড়ব্রিজ এলাকায় বেশ কয়েকটি আতশবাজি ফোটান। আতশবাজির বিকট শব্দে বিরক্ত হয়ে স্থানীয় দোকানিসহ কয়েকজন প্রতিবেশী প্রতিবাদ করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা বাজি ফোটানো বন্ধ না করলে বড়ব্রিজ এলাকার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা বাধা দেন। এতে আক্তার দরজি ও হাসান মোল্লার মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সংঘর্ষে আহত যুবক হাসান মোল্লা বলেন, ‘আমাদের অপরাধ ওদের বাজি ফুটাইতে বাধা দিলাম কেন? এই কারণে মেম্বার আবুল হোসেন ও তাঁর ছেলে দলবল নিয়া আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন দরজি বলেন, ‘আমার ছেলে ও ভাগনেরা বাজি ফোটায় নাই। এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা সামনে ঈদের আনন্দে বাজি ফোটায়। এ নিয়ে মোল্লা আর দরজি বংশের লোকদের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনেছি।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু সফর হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের শরীরে ও মাথায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।
আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানান মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।