রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) লোগো
রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) লোগো

বিচারকের ছেলেকে হত্যা

গণমাধ্যমে আসামির বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার ব্যাখ্যা দিলেন পুলিশ কমিশনার

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলেকে হত্যা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়া (৩৪) পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৫–এ হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

প্রাইভেট কারে চড়ে পুলিশ কমিশনার এসেছিলেন সাদাপোশাকে। আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন প্রায় ১৫ মিনিট। এ সময় তাঁর আইনজীবী জমসেদ আলী আদালতে লিখিতভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এবং পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে করা বিবিধ মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান। এ সময় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেওয়ার জন্য রাখেন।

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ (মাসুম) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ আগামী ১ ডিসেম্বর। পুলিশ কমিশনারের আবেদনের ব্যাপারে আদালত সেদিন আদেশ দিতে পারেন।

আলী আশরাফ আরও জানান, পুলিশ কমিশনার তাঁর ব্যাখ্যায় বলেছেন যে আসামি লিমন মিয়াকে হাসপাতালে আটকের পর সেখানে অনেক মানুষেরই ভিড় ছিল। সে সুযোগে লিমন মিয়া ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

১৩ নভেম্বর রাজশাহীতে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৭) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারকেও (৪৪) জখম করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হাসপাতালে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
সেখানে লিমন হত্যাহত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আদালতের নজরে আসে। এ ঘটনায় একটি বিবিধ মামলা করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে তলব করেন আদালত।