
চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম সুলতানপুরের শীলপাড়ায় বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ।
আজ বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিআইজি এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি পোড়া ঘর দুটি ঘুরে দেখেন এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে সঠিক তথ্য দিতে স্থানীয়দের সহায়তা চান। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তাও দেন তিনি।
ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ রাসেল, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল।
এদিকে ঘটনার এক দিন পর আজ বিকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনিল শীলের ছেলে মিঠুন শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
রাউজান থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে সঠিক তথ্য দিলে ডিআইজির পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুটিকে নগদ ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রাউজানে গত সোমবার গভীর রাতে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সুলতানপুর গ্রামের দুবাইপ্রবাসী সুখ শীল এবং দিনমজুর অনিল শীলের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। বাঁশ ও টিনের বেড়া কেটে ঘর থেকে বের হয়ে পরিবার দুটির সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার সকালে ওই দুই পোড়া বাড়ির ২০০ মিটার দূরে একটি সীমানা বেড়ায় টানিয়ে দেওয়া হয় রহস্যময় ব্যানার। আগুন দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও সক্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দায়ী করে ব্যানারটি লেখা হয়। হাতে লেখা ব্যানারটি নিয়ে ভীতি ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে এলাকার মানুষজনের মধ্যে।