
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এক ব্যক্তির মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ১৭ বছর বয়সী আরও এক কিশোরের ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এ আদেশ দেন। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরকারি কৌঁসুলি মো. রুহুল আমিন সিকদার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুমকি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত আরেক আসামির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি আদেশের কপি হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরের ডিএনএ পরীক্ষায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী তার ‘ঘনিষ্ঠ’ সহপাঠীর (১৭) মাধ্যমে প্রথমে ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনা দেখে তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত অন্য দুই কিশোর ভুক্তভোগীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পাশাপাশি মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ফাঁসের হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়। ধর্ষণের ভিডিও, এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও জব্দ করা আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তাঁকে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে দাফন করা হয়। গত ১৮ মার্চ বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে ওই কলেজছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে দুই কিশোরের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। এরপর গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ভুক্তভোগীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২৭ এপ্রিল তার শহীদ বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।