Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝড়ে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

গত মার্চ থেকে ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ

টানা লোডশেডিংয়ের মধ্যে এবার বন্ধ হয়ে গেল ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে আসা আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরবরাহ। হঠাৎ আকস্মিক ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বুধবার বিকেলের দিকে লোডশেডিং অনেক বেড়ে যায়। এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবার চালু করা হচ্ছে। মধ্যরাতের পর সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হতে পারে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহনপুর হয়ে। বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঝড়ে রোহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তা ঠিক করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে বলা হয়েছে।

বড় আকারের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র একবার বন্ধ করা হলে পুনরায় চালু করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। ইতিমধ্যে এটি চালু করা হয়েছে বলে পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে। তবে উৎপাদন শুরু করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে রাত ১২টা থেকে ১টা বেজে যেতে পারে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট আছে। প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে দুদিন আগে। এটি থেকে মোট এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে কাল থেকে। বুধবার রাতে প্রথম ইউনিট চালুর পর বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে বন্ধের পর বুধবার বিকেল চারটায় দেশে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪১৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে সারা দেশে। টানা তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হয় গড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট করে। এরপর তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে লোডশেডিং কিছুটা কমানো হয়েছে।