Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রতিশ্রুত তহবিল নিয়ে নির্দেশনা না থাকায় টিআইবির উদ্বেগ

জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিলের বিষয়ে কপ-২৬ সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট পথরেখা না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য অভিযোজন তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। অপরদিকে জলবায়ু তহবিল প্রদান ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশসহ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রতিনিধিদের আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে টিআইবি।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জলবায়ু সম্মেলনের প্রাথমিক খসড়ার ঘোষণায় হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত শত কোটি ডলার বাৎসরিক জলবায়ু তহবিল প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে উন্নত দেশগুলো আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অথচ প্যারিস চুক্তির আওতায় ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সর্বসাকল্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিলে দেওয়া হয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কপ-২৬ সম্মেলন শুরুর আগে বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে যে উচ্চাশা তৈরি করেছিলেন, তার বড় অংশই পূরণ হয়নি। উল্টো ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণায়ন লক্ষ্যমাত্রাকে অনৈতিকভাবে ২ ডিগ্রিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার বন্ধে সুনির্দিষ্ট টাইমলাইন রাখা হয়নি।

প্রকাশিত খসড়ায় ক্ষয়-ক্ষতি (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) সংক্রান্ত প্রসঙ্গটি আলাদা করে উল্লেখ করাকে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘প্যারিস চুক্তিতে লস অ্যান্ড ড্যামেজকে অভিযোজন থেকে আলাদা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়ন সংক্রান্ত আর্থিক প্রতিবেদনে দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় প্রদত্ত সহায়তা একটি পৃথক কলামে উল্লেখ করত না।’ তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলো জোর দাবি তুললেও, উন্নত দেশগুলোও দুর্যোগের অজুহাত দেখাচ্ছে। দুর্যোগের কারণে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজ মেকানিজমের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

টিআইবির নির্বাহী প্রধান বলেন, আমরা আশা করব এই অবস্থান থেকে সরে এসে উন্নত দেশগুলো ক্ষতিপূরণের বিষয়টিতে একমত হবে। এর মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের পাশাপাশি উন্নত দেশসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।