ঈদের বিকেলে বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর আকাশ কালো করে মেঘ জমে। এরপর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি; যদিও পরিমাণ ছিল সামান্য। তবে গরমের এই সময়ে তা প্রশান্তি যে আনবে, এটি নিশ্চিত। ১৯ দিন বৃষ্টিহীন থাকার পর গতকাল শুক্রবার প্রায় একই সময়ে বৃষ্টি হয়েছিল রাজধানীতে।
ঈদের দিন যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে, তার পূর্বাভাস গতকালই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী, আজ দেশের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীতে সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছিল ২ এপ্রিল। এর ১৯ দিন পর রাজধানীবাসী গতকাল দেখা পেয়েছিলেন বৃষ্টির। এ বৃষ্টি ছিল বহুকাঙ্ক্ষিত। কারণ, এর মধ্যে প্রচণ্ড তাপে পুড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। তাই বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো ছিলেন রাজধানীবাসী। সেই বৃষ্টির প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার পর আজ আবার বৃষ্টি এল।
আজ রাজধানীর মিরপুর-১০, আদাবর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মগবাজার, ভাষানটেক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে এর পরিমাণ সামান্য বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই দেশে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার তা কমে হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের বৃষ্টি রাজধানীবাসীকে প্রশান্তি দেবে—মন্তব্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের। তিনি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, দেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এই প্রবণতা আগামী সোমবার পর্যন্ত থাকবে। তবে মঙ্গলবার থেকে তা আবার বাড়তে পারে।
আজ সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৮ মিলিমিটার এবং সিলেটে ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১১ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।