আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়া অধিদপ্তর

রাজধানীতে এক দিনে তাপমাত্রা কমল ৮ ডিগ্রির বেশি, স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে পারে

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে আজ সোমবার। খুলনা বিভাগ বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সব এলাকাতেই এভাবে তাপমাত্রা কমেছে। রাজধানীতেও আজ তাপমাত্রা কমেছে ৮ ডিগ্রির বেশি।

যেসব এলাকায় এভাবে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যায় সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের দিকে এ সময় বিশেষ নজর দিতে হবে।

গত বুধবার (৭ মে) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। গত শুক্রবার দেশের অনেক স্থানে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। পরদিন শনিবার দেশের ৬২ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি বছর দেশের এত এলাকায় তাপপ্রবাহ হয়নি। দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি।

এর মধ্যে গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন তাপপ্রবাহের এলাকায়ও আজ তাপমাত্রা কমেছে। যেমন গতকাল উত্তরের জেলা রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেখানে তাপমাত্রা হয়েছে ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা বিভাগ বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সর্বত্র ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে। আগামীকালও এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

টানা পাঁচ দিন তাপপ্রবাহের পর গতকাল দুপুরের পর থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরই তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। রাজধানীতে গতকাল সামান্য বৃষ্টি হয়। আজ কয়েক দফায় মেঘ থাকলেও রাজধানীতে বৃষ্টি হয়।

এভাবে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক প্রভাব আছে বলে মনে করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং বিশিষ্ট মেডিসিন–বিশেষজ্ঞ ডা. টিটো মিঞা। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে হঠাৎ তাপ কমে যাওয়াটা বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ঝুঁকির। যাঁরা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসসহ শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের সমস্যা বাড়তে পারে। তাপমাত্রার বড় পরিবর্তনে এসব সমস্যা হয়। এ সময় তাপমাত্রার এই হ্রাস–বৃদ্ধিতে জ্বরের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আবার ভাইরাসবাহিত রোগগুলোরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ সময় তাহলে করণীয় কী—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক টিটো মিঞা বলেন, পরিবর্তিত তাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এসি থাকলে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখা বা বন্ধ রাখতে হবে। মোদ্দাকথা হলো সাবধানে থাকতে হবে।