ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলের লোকজনকে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা দেখাচ্ছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সচেতনতা তৈরিতে মাইকিং করা হচ্ছে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে।
সিত্রাং মোকাবিলায় আজ সোমবার দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, উপকূলের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া, খাবার, ওষুধপত্রসহ যাবতীয় ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলার বাঁশখালী ও সন্দ্বীপকে বেশি দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সন্দ্বীপে ১১০টি ও বাঁশখালীতে ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৫ টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এটা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী।
তবে উপকূলের লোকজন এখনই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে রাজি নন। মাইকিং ও স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা সত্ত্বেও তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা প্রথম আলোকে জানান, ‘মাইকিং চলছে। লোকজন এখনই আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। ঝড়ের প্রভাব দেখে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে জরুরি প্রয়োজনে ৪০টি বিদ্যালয়ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত চিকিৎসকেরা। জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানিয়েছেন, ২৯০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, খাওয়ার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে।