ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের ট্যালি লোন ‘দ্রুতি’

ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছে ‘দ্রুতি’ নামের একটি ট্যালি লোন পদ্ধতি
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছে ‘দ্রুতি’ নামের একটি ট্যালি লোন পদ্ধতি। এটি মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অভিনব উদ্যোগ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের হিসাবের জন্য ব্যবহার করেন ট্যালি খাতা। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত এই ট্যালি খাতার ওপর ভিত্তি করেই ব্র্যাক ব্যাংক শুরু করে ট্যালি লোন। ব্র্যাক ব্রাংকের ট্যালি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লেনদেন ও ঋণযোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে তাঁদের এই ট্যালি খাতা ব্যবহার করতে পারেন। ব্র্যাক ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসাররা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো পরিদর্শনের পর ব্যবসায়ীদের ট্যালি খাতার রেকর্ড অনুযায়ী তাঁদের প্রয়োজন ও চাহিদাগুলো মূল্যায়ন এবং ঋণের আবেদনগুলো গ্রহণ করবেন।

এ ছাড়া ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন ঋণের আবেদনের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পেতে সাহায্য করে। আর ট্যালি লোন ‘দ্রুতি’র আওতায় ন্যূনতম দুই বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পুরুষ উদ্যোক্তা ও এক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নারী উদ্যোক্তা কোনো ধরনের বন্ধক ছাড়াই সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারবেন। এই ঋণ দুই বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।

এক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নারী উদ্যোক্তা কোনো ধরনের বন্ধক ছাড়াই সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন

ব্র্যাক ব্যাংকের এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জেও চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তীকালে কুমিল্লা ও নরসিংদী অঞ্চলেও এই ট্যালি লোন ‘দ্রুতি’ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ঋণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মানসিক বাধা অতিক্রম ও অর্থায়নে সহায়তা করে ব্যবসা এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে। ফলে ঋণ চক্র থেকে মুক্ত হয়ে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারছেন ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের ট্যালি লোন ‘দ্রুতি’র কারণে আর্থিক লেনদেনের প্রতি ব্যবসায়ীদের যে আস্থা তা ব্যাংকিংকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ন্যায্য ও সমান সুযোগ তৈরি করছে। ঋণ অনুমোদনের এই প্রক্রিয়া খুবই সহজ। এ ক্ষেত্রে শুধু ট্যালি খাতার রেকর্ডের মূল্যায়ন করা হয় ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ঋণ প্রদান করা হয়।