হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনে আরোপিত মানদণ্ড প্রশ্নে রুল

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরোপিত মানদণ্ড প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রুল দেন।

এর আগে ‘মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নতুন সুযোগ: বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্ট সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া’ বিষয়ে গত ১৮ নভেম্বর ১০টি মানদণ্ড উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

মানদণ্ডে বলা হয় লাইসেন্স প্রাপ্তির পর ন্যূনতম পাঁচ বছর সন্তোষজনক কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; গত পাঁচ বছরে বিদেশে ন্যূনপক্ষে তিন হাজার কর্মী প্রেরণের প্রমাণক থাকতে হবে; গত পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্য দেশে কর্মী প্রেরণ ও কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন, নিয়োগ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে এবং কর্মী প্রেরণকারী দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে সদাচরণের সনদ থাকতে হবে বলে মানদণ্ডে উল্লেখ করা হয়।

মানদণ্ড–সংবলিত ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে মেসার্স আফিয়া ওভারসিজসহ তিনটি রিক্রুটিং এজেন্সি গত মাসে রিট করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আতিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১৮ নভেম্বরের মানদণ্ড–সংবলিত ওই বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মো. আতিকুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মানদণ্ড বিবেচনায় একটি বিশেষ গোষ্ঠী মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবে, যা মনোপলি তৈরি করবে। মানদণ্ডগুলোর কারণে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বাদ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা আপিল বিভাগের এ–সংক্রান্ত রায় ও প্রতিযোগিতা আইনের পরিপন্থী।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী।