
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। একই সঙ্গে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায়ও তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে ডুজা এসব ঘটনার নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমের অফিসে হামলা ও একজন প্রবীণ সম্পাদককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি দেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগণের জানার অধিকারের ওপর সরাসরি ও সুস্পষ্ট আঘাত। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে এ ধরনের হামলা চালানো প্রমাণ করে—হামলাকারীরা গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘোরতর শত্রু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান বিবৃতিতে বলেন, যারা কলমের শক্তিকে ভয় পায়, তারাই এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে সত্যকে থামানো যাবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদপত্রের অফিস কোনোভাবেই হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে না। সাংবাদিক ও সম্পাদকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। ভিন্নমত দমন, সমালোচনামূলক সাংবাদিকতা বন্ধ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে মিডিয়া হাউস ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা একটি অশনিসংকেত, যা পুরো সমাজ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।
বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলে যদি কেউ সংবাদমাধ্যমে আগুন দেয়, অফিস ভাঙচুর করে বা সম্পাদকদের ওপর হাত তোলে, তবে তারা গণতন্ত্রের ন্যূনতম চেতনারও ধারক নয়। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—সাংবাদিক সমাজ কখনোই ভয় পেয়ে নীরব হবে না।
ডুজা অবিলম্বে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা এবং নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিক, সম্পাদক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।