ভারত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের বিজয় হিসেবেই দেখে। এটা ভারত শুরু থেকেই করে চলেছে। আমি কলকাতায় উপহাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দেখেছি ১৬ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের বিজয় হিসেবে উদ্যাপন করে। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু ভারত দিবসটি তাদের মতো করেই পালন করছে। এটি তারা তাদের বিজয় হিসেবে দেখে। আমরা মনে করি, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে এ দেশের মাটি থেকে হটিয়ে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে। স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। কাজেই ভারতের সঙ্গে বিতর্কে না গিয়ে নিজেদের বিজয়কে সমুন্নত রাখার বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দেওয়াই সমীচীন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন যে অবস্থায় রয়েছে, তার অন্যতম প্রধান কারণ শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ গত বছর থেকেই তাঁকে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত হওয়ার পর আবার শেখ হাসিনাকে ফেরতের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। ভারত যে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাচ্ছে না, সেটি দুই কারণে অনুচিত।
প্রথমত, শেখ হাসিনা একজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিচারিক প্রক্রিয়ায় দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিকে নৈতিকভাবে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের কোনো কারণ কিংবা প্রয়োজন নেই। ভারত তাঁকে সেই সুবিধা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছে।
দ্বিতীয়ত, কূটনৈতিকভাবে শেখ হাসিনার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সদুত্তর দেওয়ার দায় রয়েছে ভারতের। কিন্তু সেটি প্রতিপালন না করার কারণে ভারতের কূটনৈতিক ঘাটতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৬ মাসে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু উদ্যোগ হয়তো নেওয়া হয়েছে। সেগুলো কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে দুই পক্ষের দিক থেকে সংবেদনশীল কিছু বিষয় আছে। সে বিষয়গুলোতে সাবধানতা বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সংযত হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
বাংলাদেশ যখন একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, সেখানেই মনোযোগ নিবদ্ধ থাকা উচিত। বাংলাদেশকে নির্বাচন নিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট থাকতে হবে। নির্বাচনের পথে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। কিন্তু লক্ষ্যের বিষয়ে সংযত থেকে এগোনো উচিত। নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কক্ষচ্যুত করার বিষয়ে কারও কারও আগ্রহ থাকতে পারে। এ নিয়ে একটা আশঙ্কা তো আছেই। কাজেই উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে, কোনো রকম বিতর্কে না গিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়াই সর্বোত্তম উপায়। এখানে সংযম যত দেখানো যায়, তত ভালো।
প্রথমত, শেখ হাসিনা একজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিচারিক প্রক্রিয়ায় দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিকে নৈতিকভাবে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের কোনো কারণ কিংবা প্রয়োজন নেই। ভারত তাঁকে সেই সুবিধা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছে।
দ্বিতীয়ত, কূটনৈতিকভাবে শেখ হাসিনার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সদুত্তর দেওয়ার দায় রয়েছে ভারতের। কিন্তু সেটি প্রতিপালন না করার কারণে ভারতের কূটনৈতিক ঘাটতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৬ মাসে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু উদ্যোগ হয়তো নেওয়া হয়েছে। সেগুলো কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে দুই পক্ষের দিক থেকে সংবেদনশীল কিছু বিষয় আছে। সে বিষয়গুলোতে সাবধানতা বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সংযত হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
বাংলাদেশ যখন একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, সেখানেই মনোযোগ নিবদ্ধ থাকা উচিত। বাংলাদেশকে নির্বাচন নিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট থাকতে হবে। নির্বাচনের পথে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। কিন্তু লক্ষ্যের বিষয়ে সংযত থেকে এগোনো উচিত। নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কক্ষচ্যুত করার বিষয়ে কারও কারও আগ্রহ থাকতে পারে। এ নিয়ে একটা আশঙ্কা তো আছেই। কাজেই উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে, কোনো রকম বিতর্কে না গিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়াই সর্বোত্তম উপায়। এখানে সংযম যত দেখানো যায়, তত ভালো।