পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ফলাফল জানতে বাইরে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা
পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ফলাফল জানতে বাইরে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা

জাকসু নির্বাচন

ভেতরে ভোট গণনা, বাইরে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা শুরু হয়। ফলাফল জানতে বাইরে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন, ভোট গণনা শেষ করে ফলাফল প্রকাশে আজ শুক্রবার দুপুর হয়ে যেতে পারে।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর বৃহস্পতিবার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ এবং ছাত্র ৬ হাজার ১৫ জন।

জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭৭ জন প্রার্থী। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২১টি হলের প্রতিটিতে পদসংখ্যা ১৫।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষে বিভিন্ন হলের ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে। এ সময় সিনেট ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু করে জাকসু নির্বাচন কমিশন। শিক্ষার্থীরা ফলাফলের জন্য ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় তলার সিঁড়ির একপাশে, করিডোরে এবং ভবনের সামনের চত্বরে অপেক্ষা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তালহা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। ভোট দিয়েছি পছন্দের প্রার্থীদের। তাঁরা নির্বাচিত হবেন, এটাই প্রত্যাশা।’

লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুরাইয়া লিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাকসু নির্বাচন আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। বিকেল পাঁচটার সময় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা করছি নির্বাচনের ফলাফলের জন্য। আমার বিশ্বাস, শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিতরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবেন।’

জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোট গণনা করতে আজ সারা রাত লেগে যাবে। আশা করছি, কাল (শুক্রবার) দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে। শতকরা প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।’