গবেষণা

দেশে ২০৩৫ সালে ৪৬ লাখ ২০ হাজার টন ই–বর্জ্য হবে

ই-বর্জ্যের রয়েছে মারাত্মক রেডিয়েশন, যা বিভিন্নভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে।
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বছরে ১৩৭ কোটি ডলারের ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রি হয়। যার ৪০ শতাংশ হলো রেফ্রিজারেটর ও ৩০ শতাংশ টেলিভিশন। এসব সামগ্রীর বড় অংশ নষ্ট হওয়ার পর ই–বর্জ্যে পরিণত হয়। প্রতিবছর দেশে এ ধরনের বর্জ্যের পরিমাণ ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফলে দেশে ২০৩৫ সালে ৪৬ লাখ ২০ হাজার টন ই-বর্জ্য তৈরি হবে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে।

শনিবার রাজধানীর সিভিক সেন্টারে আয়োজিত ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১–এর পর্যালোচনা এবং টেকসই বিজনেস মডেল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তুলে ধরা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। গবেষণা সংস্থা ভয়েসেস ফর ইন্টারেক্টিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ভয়েস) এ সভার আয়োজন করে।

সভায় ই-বর্জ্য দূষণ থেকে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যকে নিরাপদ করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন বক্তারা। আলোচকেরা  ই-বর্জ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, যথার্থ বর্জ্য ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি, আইনের দুর্বলতা দূর করা এবং ই-বর্জ্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুনর্ব্যবহারের আহ্বান জানান। এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনগুলোয় ই-বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন বক্তারা।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ মূল গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ও সভা পরিচালনা করেন। সাংবাদিক সালিম সামাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সামাজিক আন্দোলনের নেতা আমিনুর রসুল, সনি-র‌্যাংগসের প্রতিনিধি জহিরুল হাসান এবং বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, নারীনেত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।