Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে হতাহতের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুনে হতাহতের ঘটনার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

খবরটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে পশ্চিমা গণমাধ্যম বিবিসি, সিএনএন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ইনডিপেনডেন্ট, দ্য গার্ডিয়ান, এনবিসি নিউজ, সিবিএস নিউজ, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এএফপি, এপি এবং আল-জাজিরার মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাততলা ভবনটিতে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।

Also Read: ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন, এ পর্যন্ত যা জানা গেল

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কর্মকর্তাদের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি ছয়তলা শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে যে আগুন লেগেছিল, তার সূত্রপাত হয় দ্বিতীয় তলার একটি বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ থেকে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট দুই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মারা গেছেন দম বন্ধ হয়ে। বাকিরা ভবন থেকে লাফ দেওয়ায় মারা গেছেন। দুটি সরকারি হাসপাতালে দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Also Read: ‘আমার মেয়ে বলছিল, বাবা, জন্মদিনটা কি মৃত্যুদিন হয়ে যাচ্ছে?’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি ছয়তলা ভবনে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। ভবনটিতে কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল। সেখানে অনেক পরিবার শিশুসহ খাবার খাচ্ছিল। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ গ্যাস লিক হতে পারে। কিংবা চুলা থেকে আগুন ছড়াতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি একাধিক খবর প্রকাশ করেছে। একটি খবরে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলেছেন, এটি স্পষ্ট, এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য নিরাপত্তার ত্রুটি দায়ী।

Also Read: বেইলি রোডে ভবনে আগুন: এত মৃত্যুর কারণ কী, যা বলছেন চিকিৎসকেরা

বার্তা সংস্থা এএফপি পরিবেশিত খবর প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান, এনডিটিভি।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলের দোতলায় একটি রেস্তোরাঁ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা এপির খবর প্রকাশ করেছে এনবিসি নিউজ।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বরাতে যুক্তরাজ্যের দ্য ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানি রেস্তোরাঁয় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে।