প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার উদ্বোধন করেন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার উদ্বোধন করেন

কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করল ইসি

কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সেবার উদ্বোধন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের প্রতীক হিসেবে তিনি কয়েকজন নিবন্ধিত প্রবাসীর হাতে স্মার্ট এনআইডি কার্ড তুলে দেন। আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সিইসি বলেন, ‘যেখানেই তারা (প্রবাসী বাংলাদেশি) থাকুক না কেন, সব নাগরিক যখন অংশগ্রহণ করতে পারে, তখনই গণতন্ত্র অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়।’

বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার আরও সহজলভ্য করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন সিইসি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রবাসীরা যেভাবে রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, সেভাবেই তাঁদের দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সিইসি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।

নতুন এই কর্মসূচির আওতায় এখন কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও টরন্টোর কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে ভোটার নিবন্ধনসহ এনআইডি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার কাজী রাসেল পারভেজ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডেপুটি হাইকমিশনার দেওয়ান হোসনে আয়ুব।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ প্রায় এক কোটি প্রবাসী নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ ও নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এর মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান যেমন গুরুত্ব পাবে, তেমনি তাঁদের কণ্ঠস্বরও দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রতিফলিত হবে।