রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ২৫ জন সাংবাদিককে ফেলোশিপের সনদ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ২৫ জন সাংবাদিককে ফেলোশিপের সনদ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নিরাপদ সড়ক–সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য ২৫ সাংবাদিক পেলেন পুরস্কার

সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ২৫ জন সাংবাদিককে ফেলোশিপ দিয়েছে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)। আজ সোমবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মধ্যে ফেলোশিপের সনদ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন পরিবেশনের লক্ষ্যে তিন মাসব্যাপী ফেলোশিপ কর্মসূচি পরিচালিত হয়। ফেলোশিপ চলাকালে নির্বাচিত সাংবাদিকেরা বিএনএনআরসি কর্তৃক নির্ধারিত একজন মেন্টরের (বিভিন্ন গণমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক) তত্ত্বাবধানে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী মোট ৭৫টি প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশ করেছেন। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ, কাঠামোগত দুর্বলতা, নীতিগত ঘাটতি ও সড়ক নিরাপত্তায় করণীয় এবং সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উঠে এসেছে।

ছয়টি দলে ফেলোদের ভাগ করা হয়। এই ছয় দল থেকে ছয়জন সেরা ফেলো নির্বাচিত হন। সেরা ফেলোরা হলেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, ইমন রহমান (দৈনিক যুগান্তর), রেজাউল করিম (বাংলানিউজ২৪.কম), শাহীন আক্তার (দ্য নিউ এজ), জামিউল আহসান শিপু (দৈনিক ইত্তেফাক) ও জিয়াউল হক সবুজ (বাংলা ভিশন)।

উল্লেখ্য, ফেলোশিপকালে মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান, আসজাদুল কিবরিয়া, সাকিলা জেসমিন, আবু সালেহ আকন, বাছির জামাল ও বাদশা মিয়া।

ফেলোশিপের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন তৈরি এবং সমর্থনে অবদান রাখাই মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে, বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনার কথা। এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করাও ফেলোশিপের অন্যতম লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবিটরের (জিএইচএআই) কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শরিফুল আলম এবং বিএনএনআরসির নির্বাহী প্রধান এ এইচ এম বজলুর রহমান।

বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ শুধু আইন বা অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা, তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন ও জনমুখী নীতি আলোচনা একটি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফেলোশিপ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টা প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।