‘আমার দেখা জুলাই গণ–অভ্যুত্থান’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। ঢাকা, ২১ আগস্ট
‘আমার দেখা জুলাই গণ–অভ্যুত্থান’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। ঢাকা, ২১ আগস্ট

সন্তানের রক্তে ভেজা দেশ দুর্নীতিবাজদের হাতে দেওয়া যাবে না: শহীদ আনাসের মা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কাদের হাতে থাকবে, তা গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের বর্ণনা লিখে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি শাসনব্যবস্থার ওপর নজরদারিও প্রয়োজন। সেখানে ভরসার জায়গা আজকের তরুণেরা।

‘আমার দেখা জুলাই গণ–অভ্যুত্থান’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সারা দেশের ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ শিক্ষার্থীর হাতে উপহার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের বাবা-মা। আনাসের মা সানজিদা খান বলেন, ‘যে রাষ্ট্রে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল পুলিশের, সেই পুলিশই হত্যা করেছিল নিরপরাধ সন্তানদের। আমার আনাসের রক্তে রাস্তাটা পুরা ভরে গিয়েছিল। সেই রক্ত যেন বৃথা না যায়। দায়িত্ব এমন কারও হাতে দেওয়া যাবে না, যারা দুর্নীতি করবে, চাঁদাবাজি করবে।’

আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু বলার আছে, সেই কথাগুলো উঠে এসেছে এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের লেখা রচনায়। আর ভবিষ্যতে আমরা যে রাজনৈতিক জীবন কাটাব, সেখানে গুরুত্ব রাখবে এই সব লেখা। এভাবেই ইতিহাস তৈরি হয়।’

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম বলেন, ‘কলেজের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়েছিল তাদের চোখে জুলাই বিপ্লবের ঘটনা দেখার অভিজ্ঞতার কথা লিখতে। কেউ কেউ এত চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে গর্ব হয় আমাদের। কেউ কেউ শহীদদের চিঠি উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এই খাতাগুলোতে জুলাই–পরবর্তী পরিস্থিতি কেমন, সেটাও উল্লেখ করেছেন অনেকে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ফরিদউদ্দিন সরকার। শুরুতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব৵ক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।