
চট্টগ্রামে ২২ বছর আগে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় তিনজনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলী খান, দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ার ও আলমগীর ওরফে বাইট্টা আলমগীর। বুধবার প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন শিকদার এ রায় দেন।
সরকারি কৌঁসুলি এম এ ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত তিন আসামিকে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর এবং পুলিশের কাজে বাধাদান ও হামলার দায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে দেলোয়ার জামিনে মুক্তি পান। এরপর ওই বছরে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। আর সাজ্জাদ জামিনে গিয়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন বলে জনশ্রুতি আছে।
দেলোয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি কৌঁসুলি এম এ ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা জামিনে গিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পলাতক। তাঁদের কোনো আইনজীবী নেই। দেলোয়ার বন্দুকযুদ্ধে নিহতের বিষয়ে আদালতকে কেউ লিখিতভাবে অবগত করেননি।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ২ অক্টোবর পুলিশ সাজ্জাদের নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর বাড়িতে অভিযান চালাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ সাজ্জাদ, দেলোয়ার ও আলমগীরের কাছ থেকে একটি একে–৫৬ রাইফেল, ৫৬টি ম্যাগাজিন, ৬৪টি গুলি ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট উদ্ধার করে। এ ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আটজনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।
এর আগে ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হত্যায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ড পেয়েছিলেন সাজ্জাদ। পরে উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় খালাস পান তিনি।