
রাইডারদের জীবনে এখন মোটরসাইকেল শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোর একটি মাধ্যম নয়, এটি হয়ে উঠেছে তাঁদের ব্যস্ত জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর তাঁদের এই প্রতিদিনের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হিসেবে ভরসার নাম হয়ে উঠছে ‘সুজুকি জিক্সার মনোটোন’। অফিসে যাওয়া, বন্ধুর সঙ্গে ক্যাফেতে আড্ডা কিংবা ছুটির দিনে হঠাৎ কোথাও বেড়িয়ে পড়া—মনোটোনের রাইডরা জানেন, তাঁদের বাইক সব সময় প্রস্তুত।
বাইকটি যেমন দেখতে স্পোর্টি, চালাতে তেমনই দুর্দান্ত। ১৫৫ সিসি ইঞ্জিন ও উন্নত মাইলেজসম্পন্ন জিক্সার মনোটোন রাস্তায় এখন তরুণদের আত্মবিশ্বাসের একটি জায়গা। বাইকটি দ্রুত অ্যাক্সিলারেশন, কম্প্যাক্ট হ্যান্ডলিং আর উন্নত ফুয়েল ইকোনমির সাহায্যে সময়, গতি ও স্টাইল সবই ধরে রাখতে পারে। প্রতি লিটারে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার মাইলেজের মতো সাশ্রয়ী পারফরম্যান্স এটিকে করে তুলেছে দৈনন্দিন যাত্রার জন্য এক সাশ্রয়ী ও স্বস্তিদায়ক সঙ্গী। সেই সঙ্গে এর উন্নত ব্রেকিং-ব্যবস্থা গতি ও নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে, যা দীর্ঘ রাইডেও নিশ্চিয়তা দেয় আরামের।
বাইকের ডিজিটাল স্পিডোমিটার এবং লাইটওয়েট বডি ডিজাইন রাইডারকে দেয় আধুনিক ও স্মার্ট রাইডিং অভিজ্ঞতা। আর মনোটোন কালারের স্পোর্টি লুক সবার নজর কাড়ে।
এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে সুজুকির নিরবচ্ছিন্ন মান বজায় রাখার কারণে। জাপানের বিশ্বখ্যাত এই মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড বছরের পর বছর ধরে রাইডারদের মাঝে গড়ে তুলেছে বিশ্বাস ও ভালোবাসা। বাংলাদেশে সুজুকির এই যাত্রা আরও গতিশীল করে তুলেছে র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেড—যারা দেশের একমাত্র অথোরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছে।
র্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেডের রয়েছে ১৩০টিরও বেশি শক্তিশালী ডিলার নেটওয়ার্ক, অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টার, জেনুইন স্পেয়ার পার্টস। এ ছাড়া তারা নিয়মিত সার্ভিস সাপোর্ট রাইডারদের জন্য তৈরি করছে একটি পরিপূর্ণ রাইডিং ইকোসিস্টেম। তাই সুজুকি এখন শুধু বাইক নয়, একটি সার্বিক রাইডিং অভিজ্ঞতার নাম।
মনোটোন ব্যবহারকারী অনেকের মতে, এটি তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। কাজের দিন হোক কিংবা ছুটির দিনে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই হোক—এই বাইক ছাড়া তারা ভাবতেই পারে না। স্টাইল, মাইলেজ আর পারফরম্যান্স—সব একসঙ্গে চাইলে সুজুকি মনোটোনের কোনো বিকল্প হয় না।
একটি বাইক, যা শুধু চলাচলের উপায় নয়, বরং একেকটি মুহূর্তের সঙ্গী। সুজুকি মনোটোন তাই মাইলেজ থেকে গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে একেকজন রাইডারের জীবনের গল্পে।