শিল্পী শহীদ কবির
শিল্পী শহীদ কবির

লন্ডনে নিলামে শহিদ কবীরের চিত্রকর্ম ৫৩ হাজার পাউন্ডে বিক্রি

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আন্তর্জাতিক নিলামে আনুমানিক মূল্যের ছয় গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শহিদ কবীরের চিত্রকর্ম। শহিদ কবীরের লালন পর্বের ১৯৭৮ সালে আঁকা ‘সাদা ঘোড়ার ওপরে লালন’, ১৯৭৯ সালে আঁকা ‘মসজিদ, লালন ও মন্দির’ এবং ১৯৭৯ সালে আঁকা ‘কালের যাত্রামঞ্চ’ চিত্রকর্ম ছিল এই নিলামে। চিত্রকর্মগুলো বোর্ডে টেম্পেরায় আঁকা।

চিত্রকর্ম ‘মসজিদ, লালন ও মন্দির’। শিল্পী: শহিদ কবীর। মাধ্যম: বোর্ডে টেম্পেরা। সাল: ১৯৭৯

৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) লন্ডনে ‘দক্ষিণ এশীয় আধুনিক ও সমকালীন শিল্পকলা’ শিরোনামে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। শহিদ কবীরের চিত্রকর্মের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছিল সাড়ে ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার পাউন্ড। নিলামে তিনটি চিত্রকর্মের এই লট বিক্রি হয়েছে ৫৩ হাজার ৩৪০ পাউন্ডে। এবারই প্রথমবারের মতো শহিদ কবীরের চিত্রকর্ম এই নিলামে স্থান করে নেয়।

চিত্রকর্ম ‘সাদা ঘোড়ার উপরে লালন’। শিল্পী: শহিদ কবীর। মাধ্যম: বোর্ডে টেম্পেরা। সাল: ১৯৭৮

বিশ্বখ্যাত শিল্পকর্ম নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সদবি’স এই নিলামের আয়োজন করে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্রকর্মের মোট ৫৪টি লট দিয়ে ‘দক্ষিণ এশীয় আধুনিক ও সমকালীন শিল্পকলা’র এই আয়োজন করা হয়। সদবি’সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৮৭ শতাংশ চিত্রকর্মের লট এবারই প্রথম নিলামে অংশ নিয়েছে। ভারত, এশিয়ার কয়েকটি দেশ, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে সংগ্রাহকেরা এই নিলামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে এক–তৃতীয়াংশই ছিলেন নতুন অংশগ্রহণকারী।

চিত্রকর্ম ‘কালের যাত্রামঞ্চ’। শিল্পী: শহিদ কবীর। মাধ্যম: বোর্ডে টেম্পেরা। সাল: ১৯৭৯

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সদবি’সের লন্ডনে ‘দক্ষিণ এশীয় আধুনিক ও সমকালীন শিল্পকলা’র নিলামে বিক্রি হয়েছিল জয়নুল আবেদিনের ১৯৭০ সালে কাগজে আঁকা জ্যামিতিধর্মী একটি চিত্রকর্ম। এই চিত্রকর্মের আনুমানিক মূল্য ধার্য করা হয়েছিল ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড। তবে বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ১৬ হাজার পাউন্ডে। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্ব নিলামের রেকর্ডে জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের সর্বোচ্চ মূল্য।