
তারেক রহমানের পরিবারের পোষা বিড়াল জেবুকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেওয়া হয়। বাংলা ও ইংরেজিতে দেওয়া মূল পোস্টটি সকাল ১০টায় দেওয়া হয় জাইমা রহমানের পেজ থেকে। জাইমা রহমান তারেক রহমানের মেয়ে। বিএনপির মিডিয়া সেলের পেজে মূল পোস্টটিও শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে জেবুর একটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
তারেক রহমান সপরিবারে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন। তাঁদের সঙ্গে আসে জেবুও।
জেবুকে নিয়ে ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
জেবুকে ঘিরে এত কৌতূহল দেখে আমি কিছুটা অবাক, আবার মজাও পাচ্ছি। ভাবছি, ও যদি বিষয়টা বুঝতে পারত!
যেকোনো প্রাণীকে লালন-পালন করা মানেই একটা বড় দায়িত্ব নেওয়া। কারণ, প্রাণীও একটা জীব, আল্লাহর সৃষ্টি। জেবুকে যখন প্রথম ছোট্ট বিড়ালছানা হিসেবে বাসায় এনেছিলাম, তখন ভাবিনি, সে আমাদের পরিবারের এত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে যাবে। এমনও হয়েছে, আমার আব্বু-আম্মু বাসায় ফিরে আগে জেবুর খবর নিয়েছেন, তারপর আমার! আম্মু যখন বাগান করতেন বা পাড়ায় হাঁটতে যেতেন, জেবু তাঁর চারপাশে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরত।
সন্ধ্যায় আব্বুর অনলাইন মিটিংগুলো শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁর কোলে গুটিসুটি মেরে বসে থাকত, মাথায় হাত বোলানোর আদর উপভোগ করত। আর আমার ক্ষেত্রে, জেবু যেন সব সময় আমার মনের অবস্থা বুঝে ফেলত; তার ছোট্ট পা আর কোমল ছোঁয়া দিয়ে যেভাবে পারে সেভাবেই সঙ্গ দিত।
যাঁরা প্রাণী পোষেন, তাঁরা জানেন, পোষা প্রাণী নিয়ে বাসা বদলানো কতটা কঠিন। জেবু এখন মহাদেশ পেরিয়ে একেবারে নতুন একটা দুনিয়ায় এসেছে। ওর ছোট্ট প্রাণটার জন্য এই পরিবর্তনটা অনেক বড় আর কষ্টের, যেটা আমরা পুরোপুরি বুঝতেও পারি না।
জেবুর মাধ্যমে আমাদের অনেকেই ধৈর্য শিখেছে, বড়-ছোট সব প্রাণীর প্রতি মমতা শিখেছে, আর ভাষা এক না হলেও একে অন্যকে ভালোবাসা আর যত্ন নেওয়ার সৌন্দর্য বুঝেছে। কারণ, ভালোবাসা তো প্রজাতির সীমা মানে না।
আমরা ছোটবেলা থেকেই পশুপাখির সঙ্গে বড় হয়েছি। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, যে মানুষ অন্য কোনো জীবের দায়িত্ব নেওয়ার সৌভাগ্য পায়, সে নিজের সম্পর্কে অনেক বেশি কিছু শিখে ফেলে, যা সে হয়তো কল্পনাও করেনি।
জেবু সম্পর্কে একটা মজার তথ্য: ও কখনো ‘মিউ মিউ’ করে না! একদমই না। আলমারিতে আটকে গেলেও না। বরং খুশি বা অবাক হলে পাখির মতো নরম করে ডাক দেয়। অনুমতি ছাড়া কোলে নিলে হালকা বিরক্তিতে গোঁ গোঁ করে। আর যেসব বিড়াল ওর পছন্দ না, তাদের দিকে কিন্তু বেশ জোরেই চিৎকার করে!