বাংলাদেশের অন্যতম প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিভেদের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন সংগঠনের উত্তর আমেরিকাপ্রবাসী শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদীচীকে কেন্দ্র করে কোনো দুর্ঘটনা বা বিভেদ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
উদীচীর প্রবাসী শুভাকাঙ্ক্ষীদের এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, রথীন্দ্রনাথ রায়, লায়লা হাসান, হোসেন শাহরিয়ার তৈমুর, ওবায়দুল্লাহ মামুন, মজিব বিন হক, জুলফিকার হোসেন, আবদুল হাফিজ চৌধুরী, সৌদ চৌধুরীসহ ৫৫ জন।
বিবৃতিতে তাঁরা উদীচীর বর্তমান নেতৃত্বকে মতপার্থক্য ভুলে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উদীচী শুধু সাংস্কৃতিক সংগঠনই নয়, বরং গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকারের আন্দোলনে সংগঠনটির ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষের অধিকার আদায়ের কণ্টকাকীর্ণ পথে উদীচীর বুক থেকে রক্ত ঝরেছে। যশোর, নেত্রকোনায় উগ্রসাম্প্রদায়িক শক্তির বোমার আঘাতে শহীদ হয়েছেন অসংখ্য উদীচী সদস্য। কিন্তু স্বৈরশাসক, জঙ্গিদের চোখরাঙানি, বুলেট, বোমা উদীচীর কর্মকাণ্ড স্তব্ধ করতে পারেনি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রণেশ দাশগুপ্ত ও সত্যেন সেনের প্রতিষ্ঠিত উদীচী বরাবরই মানুষের পক্ষে কথা বলেছে, মানুষের মুক্তির আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। এ সংগঠনের সংকটে লাখো কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, এটা স্বাভাবিক।
বিবৃতিদাতারা বলেন, উদীচীর প্রতি মানুষের আস্থা অটুট রাখতে এবং ভবিষ্যতের পথচলা নির্বিঘ্ন করতে সংগঠনটির নেতৃত্বে ঐক্য ফিরিয়ে আনা জরুরি।